চটি সিরিজম্যাডাম

কলেজে পড়াতে গিয়ে 1 taranathtantrik – Bangla Choti Galpo New

 ১

বছর তিনেক আগেকার কথা। তখন একটা বেসরকারি কলেজ থেকে m.tech পাস করে চাকরি খুঁজছি। অনেকদিনের প্রেম টাও ভেঙে গেছে আমার গান্ডু boy friend আমাকে চিট করাই। বাড়িতে মা বাবা চাকরির আর বিয়ের জন্য যুগপৎ তারা দিচ্ছে। এক কথায় জীবন টা প্রায় নরক হয়ে উঠেছে। তখনই প্রায় ঈশ্বরের দানের মতো চাকরি টা পেয়ে গেলাম। একটা বেসরকারি কলেজে lecturer। বিশ হাজার মতো দেবে, এক বছর পর পার্মানেন্ট। সাথে টিউশন ও করতাম ভাবলাম এবার একটু স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারবো। মা বাবা মোটের উপর অখুশি হলো না। join করে ফেললাম। কিছুদিনের মধ্যেই সব সরোগর হয়ে গেল। মেয়ে কলিগ গুলো বেশ ভালো, তাড়াতাড়ি আপন করে নিলো। (College a porate gia choda chudi taranathtantrik Bal Bichi choti golpo)

 ছেলে গুলো বেশিরভাগ ই বয়স্ক নিজের কাজ নিয়ে থাকে। মোটের উপর খারাপ না। সপ্তাহ খানেক পর আমার ঘাড়ে ল্যাব এর দায়িত্ব পড়লো। এখন থেকে তিন তলার ওই ল্যাব তেই বসতে হবে। মূলত bio technology এর ল্যাব। থার্ড ইয়ার এর ছেলেরা ল্যাব করবে। যেদিন ওখানে শিফট করব, এক সিনিয়র দিদি বললো। ওই ইয়ার এর কয়েকটা ছেলে ভালো না। একটু সাবধানে থাকিস।

আমার জানা আছে এই বয়সের ছেলে রা কেমন ডেপো হয়, তুমি চিন্তা কোরোনা আমি সামলে নেবো। আমার কথা শুনে দিদি টা কেমন একটা হাসি দিয়ে চলে গেল, বেপার টা কেমন একটু লাগলো। যায় হোক আগের যে sir ল্যাব টা নিতেন তার থেকে কাজ শিখতে লাগলাম। সেই সাথে থিওরি ক্লাস এর জন্য প্রিপারেশন শুরু করলাম সিনিয়র দের পরামর্শ মতো। আমি পড়াশুনোই সাধারণ তাই আমাকে অনেকটাই খাটতে হচ্ছিল। তবে বাড়ি থেকে বাইরে সময় কাটানো আর কিছু একটা তে এনগেজ থাকায় ভাঙা প্রেমের দুঃখ টা একটু হলেও কম লাগবে মনে হচ্ছিল।

এই করতে করতে সেমিস্টার break শেষ হলো। ছাত্র ছাত্রী দের আসা যাওয়া শুরু হলো। খুব একটা খারাপ পড়াচ্ছিলাম না। ক্লাস এ প্রশ্ন করলে সব ই বলতে পারতাম। আর সিনিয়র দের শেখানোর গুনেই হোক আর পরিশ্রমের জন্যই হোক, একটা জিনিস বুজতে পারছিলাম ছাত্রী হিসেবে আমি যতোই সাধারণ হয় শিক্ষিকা হিসেবে বোধয় তার চেয়ে একটু ভালো। এই একমাস আমার ক্লাস এ প্রায় ফুল attendence থেকেছে। এরপরেই ল্যাব শুরু হলো। আমি নিতাম মূলত দ্বিতীয় বর্ষের দুটো ক্লাস। এদের ক্লাস নিই নি তাই বিশেষ চিনিও না।  প্রথম ক্লাস এ বিশেষ কোনো ঘটনাও ঘটলো না। সামান্য introduction দিয়ে ছেড়ে দিলাম।

পরের দিন পুরো দমে ক্লাস শুরু হলো। সবাই করছে কাজ মাঝে দেখি দুটো ছেলে নীলাদ্রি আর রজত কাজ না করে খেলা করছে। একটা বোতলে একটা সল্যুশন মেশানোর ছিল সেটা না করে সময় নষ্ট করছে।আমি গিয়ে বললাম কি করছো তোমরা।কাজ এখনো হয় নি কেন? রজত বললো ম্যাম কখন থেকে ঝাঁকাচ্ছি দেখুন না হচ্ছেই না।  আমি বললাম হবে না কেন ঠিক মতো নাড়াও। নীলাদ্রি বললো আমাদের দ্বারা হচ্ছে না আপনি নাড়িয়ে দিন না ম্যাম।পাস থেকে দুজন ফিক ফিক করে হেসে উঠলো।আমি কথার মনে ধরতে পারে ঝাঁঝিয়ে উঠলাম। ফাজলামো না করে কাজ করো, নৈত ইন্টারনাল এর নম্বর আমার হাতে। 

কথার টোনে হোক বা আমার মেজাজের জন্য হোক ওরা এবার কাজে মন দিলো।এবং অদ্ভুত ব্যাপার সবার যাবে কাজ শেষ করে দেখালো, যখন আমার টেবিলে দেখাতে নিয়ে এলো, তখন দেখি সব ঠিক ঠাক করেছে, কিন্তু কিরকম একটা অস্বস্তি হওয়ায় চোখ তুলে দেখলাম আমার ঝোঁকার সুযোগে ওরা দুধের খাঁজ দেখছে। চোখ তুলে তাকাতে চোখ ঘুরিয়ে নিলো। আমি ল্যাব নেওয়া শেষ করে। স্টাফ রুম এ গেলাম। সিনিয়র মালতি দি কে সব বললাম। সে বলল ওদের গ্রুপ টা ওরকম। আর আমাদের চাকরি স্টুডেন্ট ফিডব্যাক এর উপর , স্টুডেন্ট দের থেকে complaint এলে চাকরি চলে যাবে তাই ওদের ইগনোর করার চেষ্টা করি। তুই নতুন এসেছিস তাই এরকম করছে, পাত্তা না পেলে চুপ করে যাবে।

 চিন্তা করিস না। আমি ভাবলাম মালতি দির কথায় যুক্তি আছে, আর এরকমতো রাস্তা ঘাটে হামেশাই হচ্ছে, একটু আধটু ছেলেরা তাকাবেই। আর আমার দুধ গুলো বেশ ভালোই , 34 সাইজের একটুও ঝুলে পড়েনি।তাই উঠতি বয়সের ছেলেদের নজর দেওয়া স্বাভাবিক। আমি আর এসব না ভেবে নিজের কাজেই মন দিলাম।পরের দিন থেকে ওই গ্রুপ টার কাজে প্রচুর উৎসাহ দেখা গেল, বিশেষ করে রজত আর নীলাদ্রি। ওরা নানা ছুতোয় কাজ দেখাতে আসতো আরখাঁজ দেখার চেষ্টা করত,আমি কিছু বলতাম না। কাজ করতাম আর শেখার চেষ্টা করতাম। যতটা পারি কারন নিজের পসিশন স্ট্রং না করতে পারলে চাকরি চলে যাবে ।এই ফাঁকে একদিন রজত এসে বললো ম্যাম আপনার নাম্বার টা দেবেন, ইন্টারনাল আসছে, কোনো সমস্যা হলে জিজ্ঞেস করবোআমি ভালো মনে দিয়ে দিলাম

ধীরে ধীরে এই নতুন জীবন ভালো লাগতে লাগলো। গত 6 মাসে যে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম সেটা ধীরে ধীরে সয়ে আসছিল। পড়াতে খারাপ লাগছিলো না সেই সাথে যথেষ্ট attention পাচ্ছিলাম স্টুডেন্ট দের থেকে সে যেরকম ই attention হোক না কেন। নিজের প্রতি কনফিডেন্স টাই হারিয়ে ফেলেছিলাম সেটাও ফিরে পাচ্ছিলাম, যে আমি একেবারে ফেলনা নয়।পরিশ্রম করলে আমিও সফল হতে পারি জীবনে। শুধু এত কিছুর মাঝে একটাই কাঁটা। আরো দুটো সম্বন্ধ এসেছিলো দুটোই নাকচ হয়ে গেছে, শেষের টা আজকে জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের মেয়ে পছন্দ নয়।

 মা এসে তার জন্য বেশ কিছু কথা শুনিয়ে গেল। এমন নয় যে আমি বিয়ে এখনই করতে চাই কিন্তু এই অপমান গুলোও মেনে নেয়া যায় না। কি নেই আমার মধ্যে যে আমাকে এদের পছন্দ হচ্ছে না। মাথাটা গরম হয়েই ছিল। রাত্রে পড়া,নোট বানিয়ে বিছানা করছি টুংটুং করে wahtsapp ঢুকলো। দেখি রজত লিখেছে কি করছেন ম্যাম? ইদানিং রজত, নীলাদ্রি দুজনের সাথেই কথা হয়,ওদের গ্রুপ এর বাকিদের সাথেও হয় তবে অতটা না। আমি বললাম ঠিক আছি কি করছো। বললো পড়াশুনো করে একটু চ্যাট করতে বসলাম। আমি বললাম ভালোই তো লেগে পর চ্যাট এ। উত্তর এলো মুড অফ আপনার? আমি বললাম না তো, এরম কেন মনে হলো? সে বলে,না রোজ খোলামেলা কথা বলেন আজ এরম বলছেন। আমি বলে ফেললাম আমি তো খোলা মেলাই।

সত্যি ম্যাম,পুরো খোলা

আলোচনা টা কোন দিকে যাচ্ছে আমি বুঝতে পারছিলাম কিন্তু আজ যেন রোখ চেপে গেছিলো। বললাম হ্যাঁ পুরো খোলা।

কি বলছেন ম্যাম, ভেবেই আমার উত্তেজনায় নাক কান দিয়ে ধুঁয়া বেরোচ্ছে, আর…….

আমি দুস্টুমি করে জিজ্ঞেস করলাম আর কি?না ম্যাম আপনি রাগ করবেন। আমি বললাম না রে বাবা,বলো। বললো বেশ ম্যাম আপনি কিন্তু লাইসেন্স দিলেন। নিয়ে লিখলো আর একটা জিনিস দাঁড়িয়ে গেছে। ওর সাহস দেখে আমি অবাক হলাম কিন্তু কেমন জানি একটা flow তে ছিলাম নিজেকে আটকাতে পারলাম না। বললাম ফাজিল ছেলে নামাও ওটাকে। বললো ম্যাম ওটা তো এমনি নামবে না ওভার flow করাতে হবে ? তাই করাও তবে ? বললো তাহলে তো ম্যাম নাড়াতে হবেআমি বললাম নাড়াও না ওটা তো তোমার হাতেই ? আমি যে ওটা হাতে নিয়েছি কিভাবে বুঝলেন ম্যাম। আমি সব বুঝি গো যে তোমার মত ফাজিল ছেলেরা কি করে।?

সত্যি ম্যাম আপনার মত ম্যাম পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি বললাম সে তো বুঝলাম, কিন্তু নাড়িয়ে শুয়ে পর কাল আমার কলেজ আছে টাটা। বলে আমি নেট টা কেটে দিলাম একটু দুস্টুমি করে আর কিছুটা নিজেকে আটকাতে।সকালে দেখা ও ম্যাম, আছেন ম্যাম প্রচুর msg।মনে মনে ভাবলাম ঠিক হয়েছে বেশি স্মার্ট সাজতে গেলে এরকম klpd হয়। আমি একটা wink smiley দিয়ে কলেজে চলে গেলাম।সেদিন ল্যাব ছিল না ক্লাস নিয়েই কেটে গেল।বাড়ি ফিরে দেখি রজত msg করেছে কি করছেন, আমি বললাম পড়ছি পরে কথা হবে।আবার নেট অফ হলো।রাত্রে আর নেট অন করিনি। থাক একটু লিমিট এ। এক দুদিনের মজা ঠিক আছে কিন্তু বেশি বাড়তে দেয়া ঠিক না।(চলবে)

(পরের পর্ব: কলেজে পড়াতে গিয়ে 2)